শিক্ষা ও সংস্কৃতি

গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ আমল

(‘ফযীলতপূর্ণ দো‘আ ও যিকির’ বই থেকে নেয়া)১. ওযূ শেষে পঠিতব্য বিশেষ দো‘আ ও ফযীলত : سُبْحَانَكَ أللهمّ وَبِحَمْدِكَ ، أَشْهَدُ أَنْ لَّآ إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ.উচ্চারণ : ‘সুবাহা-নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা’।অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র এবং তোমার প্রশংসা। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আমি তোমার নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তওবা করে তোমার দিকে ফিরে যাচ্ছি’(ছহীহ আত-তারগীব হা/২২৫)। ফযীলত : আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেন, […]

গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ আমল বিস্তারিত পডুন »

ইয়াজুজ-মাজুজ

ইয়াজূজ মাজূজ সম্প্রদায় আদম (আঃ)-এর বংশধর। তারা ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে ঈসা (আঃ)-এর সময় পৃথিবীতে উত্থিত হবে। শাসক যুলক্বারনাইন তাদেরকে এখন প্রাচীর দিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন (কাহফ ১৮/৯৪-৯৮)। ঐ প্রাচীর ভেঙ্গে তারা সেদিন বেরিয়ে আসবে এবং সামনে যা পাবে সব খেয়ে ফেলবে। তাদের সাথে কেউ লড়াই করতে পারবে না। এক সময় তারা বায়তুল মুক্বাদ্দাসের এক পাহাড়ে গিয়ে বলবে, দুনিয়াতে যারা ছিল তাদের হত্যা করেছি। এখন আকাশে যারা আছে তাদের হত্যা করব। তারা আকাশের দিকে তীর নিক্ষেপ করবে। আল্লাহ তাদের তীরে রক্ত মাখিয়ে ফেরত পাঠাবেন। একদা ঈসা (আঃ) তাদের জন্য

ইয়াজুজ-মাজুজ বিস্তারিত পডুন »

নারীর ফেৎনা

নারীর ফেৎনা মানুষকে বিবেকশূন্য, হিতাহিত জ্ঞান শূন্য, জ্ঞানীকে মূর্খ করে, জ্ঞানীর প্রজ্ঞা কেড়ে নেয়।  বনী ইসরাঈলদের আমলে নারীর ফেৎনার সূচনা হয় এবং এই নারীর ফেৎনার কারণে তাদের মধ্যে মহামারী ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। বনী ইসরাঈলদের আমলে এক নারী জনৈক আলেমকে ডেকে যেনায় লিপ্ত হতে বলেন। কিন্তু তিনি তাতে রাজী হোন নাই। তখন নারীটি ছলনা করে ভয় দেখিয়ে বলে, তুমি মদ পান করো অথবা ঐ শিশুটিকে হত্যা করো অথবা আমার সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হও। আলেম মদ পানে রাজি হলো এবং পান করার সাথে সাথে মতিভ্রম হয়ে শিশুটিকে

নারীর ফেৎনা বিস্তারিত পডুন »

পানি পানের বিধি-বিধান ও এর উপকারিতা

পৃথিবীর সকল কিছু সৃষ্টির মূল উপাদান পানি। এই মৌলিক উপাদান পৃথিবীর সকল জীবদেহের মধ্যে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ ‘আর প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হ’তে’ (আম্বিয়া ২১/৩০)। জীব বিজ্ঞানের মতে, সাগরের অভ্যন্তরের পানিতে যে প্রোটোপ্লাজম বা জীবনের আদিম মূলীভূত উপাদান রয়েছে তা থেকেই সকল জীবের সৃষ্টি। আবার সকল জীবদেহ কোষ দ্বারা গঠিত। আর এই কোষ গঠনের মূল উপাদান হচ্ছে পানি। সুতরাং পরিস্কার পানির অপর নাম জীবন । প্রত্যেক দিন সর্বনিম্ন আট গ্লাস পানি পান করুন। তবে খাবার খাওয়ার ১৬/২০ মিনিট পূর্বে এক/দুই গ্লাস পানি পান করুন। এতে শারীরিক উপকার তিনটি রয়েছে।

পানি পানের বিধি-বিধান ও এর উপকারিতা বিস্তারিত পডুন »

কুরআন অনুধাবন করে পাঠ করা শ্রেষ্ঠ্য যিকির

মুমিন ব্যক্তির জন্য সদা কুরআন অনুধাবন করে তিলাওয়াত করা উচিৎ। কেননা, কুরআন আমাদের জন্য উপদেশ, আত্মার খোরাক ও শিফা দানকারী এবং শ্রেষ্ঠ্য যিকির বা আল্লাহকে স্মরণের সর্বোত্তম পন্থা যা আল্লাহ তা‘আলা বান্দার বুঝার জন্য সহজ করে দিয়েছেন ঐ ব্যক্তির জন্য যে ইলমে নাফিয়ান অর্জ।ন করেছেন। আল্লাহ সুবহানা ওয়া তা‘আলা বলেন, وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ. ‘আমরা কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি, উপদেশের জন্য। অতএব আছো কি কোন উপদেশ গ্রহণকারী?’ (ক্বামার ৫৪/১৭) অন্যত্র তিনি বলেন,يَاأَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ

কুরআন অনুধাবন করে পাঠ করা শ্রেষ্ঠ্য যিকির বিস্তারিত পডুন »

কুরবানীর গোশত বন্টনের নিয়ম

কুরবানী করা ওয়াজেব নয়; সুন্নাতে মুআক্কাদাহ্। ঠিক অনুরূপ লোক দেখানোর জন্য বেশ কয়েকটি কুরবানী করাও সুন্নাহর পরিপন্থী। যেহেতু হাদীসানুসারে একটি পরিবারের সকলের তরফ হতে কেবল একটি পশুই যথেষ্ট। সাহাবাদের আমলও অনুরূপ ছিল। গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু’ হল উট, গরু, ছাগল ও ভেড়াকে বুঝানো হয়েছে। এদের উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করার অর্থ, এদের যবেহ করা, যা আল্লাহর নাম নিয়েই করা হয়। আর ‘বিদিত দিনগুলি’ বলতে যবেহর দিনগুলি; অর্থাৎ তাশরীকের দিনসমূহকে বুঝানো হয়েছে। সুতরাং যবেহর দিন হল, কুরবানীর দিন (১০ম যুলহজ্জ) ও তার পরের তিন দিন (১১, ১২ ও

কুরবানীর গোশত বন্টনের নিয়ম বিস্তারিত পডুন »

আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় বান্দাদের ভালোবাসা কামনার দোআ

দো‘আ : اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ وَأَنْ تَغْفِرَ لِي وَتَرْحَمَنِي وَإِذَا أَرَدْتَ فِتْنَةَ قَوْمٍ فَتَوَفَّنِي غَيْرَ مَفْتُونٍ أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ وَحُبَّ عَمَلٍ يُقَرِّبُ إِلَى حُبِّكَ ‏”‏ অর্থ : “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ভাল ও কল্যাণকর কাজ সম্পাদনের, মন্দ কাজসমূহ বর্জনের, দরিদ্রজনদের ভালবাসার তাওফীক চাই, তুমি আমায় ক্ষমা কর ও দয়া কর। তুমি যখন কোন গোত্রকে বিপদে ফেলার ইচ্ছা কর তখন তুমি আমাকে বিপদমুক্ত রেখে তোমার কাছে তুলে নিও। আমি প্রার্থনা করি তোমার ভালবাসা, যে তোমায় ভালবাসে তার

আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় বান্দাদের ভালোবাসা কামনার দোআ বিস্তারিত পডুন »

মুমিন ব্যক্তির মর্যাদার মানদণ্ড ‘তাক্বওয়া’

তাক্বওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষ ও অমানুষের মর্যাদার মানদন্ড হ’ল তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ حَقَّ تُقَاتِهِ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো সত্যিকারের ভয়’ (আলে ইমরান ৩/১০২)। অন্যত্র তিনি বলেন, إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقَاكُمْ ‘তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাসম্পনণ যে অধিক মুত্তাক্বী’ (হুজুরাত ৪৯/১৩)। তাক্বওয়াই হ’ল প্রকৃত দ্বীন। হযরত আয়িশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতে শুনেছি, وَمِلَاكُ الدِّينِ الْوَرَعُ ‘দ্বীনের মূল হ’ল তাক্বওয়া’।[ছহীহুল জামি‘ হা/১৭২৭; সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/২৫৫] তাক্বওয়া ব্যতীত অহির জ্ঞানেরও কোন মূল্য নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,إِنَّمَا يَخْشَى اللهَ

মুমিন ব্যক্তির মর্যাদার মানদণ্ড ‘তাক্বওয়া’ বিস্তারিত পডুন »

loader-image

Scroll to Top